একশ কিলোমিটারের বেশি যাত্রায় রেলের যে রেয়াতি সুবিধা আছে তা প্রত্যাহার করা হবে কি না সে বিষয়ে আগামী এপ্রিলে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেছেন, ‘রেয়াতি সুবিধা তো দূরত্ব বিবেচনা করে একেক রকম, ২০–৩০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এপ্রিলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’ খবর বিডিনিউজের।
এক প্রশ্নে গতকাল রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রেয়াতি সুবিধা থাকার যুক্তি নেই। এটি প্রত্যাহারে চিন্তাভাবনা চলছে।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, রেয়াতি ব্যবস্থার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ছাড় পেয়ে থাকেন যাত্রীরা। এ ব্যবস্থায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ছাড়ের সুবিধা নেই। তবে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ভ্রমণে ভাড়ার ওপর রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ এবং ৪০০ কিলোমিটারের উপর ৩০ শতাংশ রেয়াতি সুবিধা বিদ্যমান।
তবে আয় বাড়াতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে রেল কর্তৃপক্ষ এ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করতে চলেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে। সেটি হলে ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। এ খবরের পর রেলের নতুন মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আভাস দিয়েছেন, ঈদের আগে রেয়াতি প্রত্যাহারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয় ১৯৯২ সালে। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়।