
বাংলা খবর২৪ অনলাইন নিউজ প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের একটি স্টেশনের ক্লিনিংয়ের (পরিচ্ছন্নতা)র কোটি টাকার টেন্ডার নতুন দরপত্র আহ্বান না করেই প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ফের ‘শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজকে’ টেন্ডারটি নবায়ন করা হয়েছে। তবে প্রায় কোটি টাকার এ কাজের এই টেন্ডারের মেয়াদ কতদিনের জন্য নবায়ন করা হযেছে সে তথ্য দপ্তর থেকে জানা যায়নি।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার (ডিসিও) কার্যালয় থেকে রেলস্টেশনের ক্লিনিংয়ের টেন্ডার দেয়া হয়। এখানে রেলের তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররা দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ নেন। গত বছরের ১ মে থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ষোলশহর স্টেশনের ক্লিনিংয়ের কাজ পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ’। শুধু ষোলশহর স্টেশনই নয় চলতি বছর থেকে ক্যান্টনমেন্ট, ফতেয়াবাদ, সরকারহাট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, হাটহাজারী ও নাজিরহাট স্টেশনের পরিচ্ছন্নতার কাজ গুলো বিলা টেন্ডারেই করতেন শহীদুল ইসলামের শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যেই দরপত্রের মেয়াদ শেষ হলে কোনো ধরনের নতুন দরপত্র আহ্বান না করে প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ফের ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজকে’ স্টেশন পরিচ্ছন্নতার কাজ দেওয়া হয়।
রেলওেয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোন কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই ঠিকাদারের কাজের গুনগত মান ভালো হলে রেল চাইলে সেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজটি রিটেন্ডার করতে পারে।
কিন্তু এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি রেলের শর্ত না মেনে স্টেশনে ক্লিনিংয়ের কাজে চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জায়গায় একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে নামে ক্লিনিং হলেও বাস্তবে স্টেশনের আশপাশে ময়লা ময়লায় রয়ে যায়। রেলের অফিস কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীদের বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে অপরিষ্কার ও নোংরা টয়লেট এবং অফিস রুম।
প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান উনার উচ্চপদস্থ কর্মকতার অনুমতি ছাড়া মেয়াদ শেষের পর কোন টেন্ডার আহবান না করেই এই রকম দুর্নিতীবাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজকে’ আবারও টেন্ডার নবায়ন করার ক্ষমতা কি রাখেন?
কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই কিভাবে এই রকম দুর্নিতীবাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ পেলো তা জানার জন্য রেল মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) সুবক্তাগীন কে তার মুটো ফোনে বার বার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।
এই বিষয় এ বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ বলেন, ‘তদারকির দায়িত্ব আমার হলেও কাজটি মূলত প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার অধীন। মেয়াদ শেষ, তবে মধ্যখানে ট্রেন বন্ধ থাকার দিনগুলো সমন্বয় করা হচ্ছে। সে সময়কাল সম্ভবত ১ মাস হবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্যর জন্য মুঠোফোনে পাওয়া যায় নি শাহআমানত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহীদুল ইসলামকে।