বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি। যে অধিকার প্রকৃতভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এটা অর্জন করতে না পারি, ততক্ষণ জনগণের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন চলবে।’
রোববার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইফতারে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। অতিথিদের দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুশল বিনিময় করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় বিএনপির চলমান আন্দোলনসহ সরকারের দমন-পীড়ন সম্পর্কে কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। বিশ্ববাসী জানে, গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনো নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপি গভীরভাবে অবহিত উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। দুই রাষ্ট্রের কৌশলই এই সংকটের সমাধান করতে পারে।
ইফতার অনুষ্ঠানে কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ। এছাড়াও ইফতার অনুষ্ঠানে ছিলেন চীন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নেপাল, স্পেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মীর নাসির, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলে এলাহী আকবর, আবদুল কাইয়ুম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সুজা উদ্দিন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, শাহ নেসারুল হক, ইশরাক হোসেন, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুজ্জামান, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, সাবেক ব্যাংকার নাসের বখতিয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম মওলা রনি।
ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে কূটনীতিকরা নৈশভোজে অংশ নেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রায় চার মাস পরে দলীয় কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।