ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ২৫ কিলোমিটার অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের সংস্কারকাজ চলার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে এ যানজটের কবলে পড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন। চট্টগ্রামমুখী লেনে থাকা যানবাহন কচ্ছপ গতিতে কিছু দূর গিয়ে পুনরায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এভাবে যানজটে আটকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দূর–দূরান্তের হাজারো যাত্রীকে। বিকাল ৪টার দিকে সড়ক যানজটমুক্ত হলেও মন্থর গতিতে চলছিল গাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড থেকে ভাটিয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দূরপাল্লার শত শত বাস, ট্রাক, কার, ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অসংখ্য যাত্রী কষ্ট করছেন। যানজটের কবলে আটকা পড়া সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, তিনি বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম যেতে সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাসস্টেশন থেকে বাসে ওঠেন। বাসটি বাড়বকুণ্ড বাজার গিয়ে যানজটের কবলে আটকা পড়ে। সেখান থেকে ধীর গতিতে যেতে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টারও অধিক সময় পর তিনি কুমিরা বাজার অতিক্রম করেন। কিন্তু জোরামতল এলাকায় যাওয়ার পর আবারও যানজটের কবলে পড়েন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে যানজটে আটকা থাকায় গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিনি।
বাড়বকুণ্ডের বাসিন্দা খোরশেদ আলম জানান, তিনি দুপুর ১২টার পর ব্যক্তিগত কাজে শহরে যেতে শুকলাল হাট বাজার থেকে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু যানজটের কারণে মন্থর গতিতে গাড়ি চলায় ৫ মিনিটের পথ বাঁশবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত এসেছেন এক ঘণ্টারও বেশি সময়ে। তবে বাঁশবাড়িয়া এলাকায় দীর্ঘক্ষণ যানজটে থাকার পর পুনরায় ফিরে এসেছেন তিনি।
এদিকে যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের কুমিরা ও ভাটিয়ারী এলাকার কিছু সংস্কার কাজ চলছে। গত শনিবারও একই স্থানে সংস্কার কাজের জন্য দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সংস্কার কাজের জন্য আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবু তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। মহাসড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করেছে। বিকাল ৪টার দিকে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সীতাকুণ্ডের উপ–প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানান, সড়কের ১৫০ মিটারের মতো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকদিন ধরে তা সংস্কার করা হচ্ছে। গাড়ি ধীরে ধীরে চলায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।