সম্প্রতি দেশজুড়ে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। বিশেষ করে রাজধানীর বেইলি রোডের কোজি গ্রিন কটেজ ও ডেমরার কাপড়ের গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ভয়াবহতাকেও হার মানিয়েছে।
এসব ঘটনা সামনে এনে দেশে ঘন ঘন আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে দেখেছি বড় বড় দু-চারটা অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি’ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ড রোধে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারব।
এরপর মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকায় কেমিকেল গোডাউন সরিয়ে দেওয়ার জন্য জায়গা দিয়েছিলাম। তারপরেও তারা গোপনে আবারও চলে আসে। আইন ভঙ্গ করে, কোনো অনুমোদন না নিয়ে এসব করছে তারা।
এসব অগ্নিকাণ্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য বেশি মুনাফা লাভের প্রবণাতে দায়ী করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার চিন্তাভাবনার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। তবে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।
যারা অতি মুনাফা করে দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স কাজ করছে। যখনই নজরে আসে তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান প্রমুখ৷